33160525_1833564996710502_5779247305609707520_n

***গুরু জেমসের ”দুষ্টু ছেলের দল”*** চায় একই পথে থাকতে !

***গুরু জেমসের ”দুষ্টু ছেলের দল”*** চায় একই পথে থাকতে !

আলহামদুলিল্লাহ, মোট ৩০ জন গরীব-এতিম মাদ্রাসার বাচ্চাদের ইফতার সহ আমরা প্রায় ১০০ জন দুষ্টু ***গুরু জেমসের ”দুষ্টু ছেলের দল”*** এর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হয়েছিলাম পুরনো ঢাকার নীরব হোটেলে, যেখানে প্রচুর বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমাদের মাঝে উপস্থিত থেকে আমাদের সবাইকে গর্বিত আর গ্রুপের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছেন “নগরবাউল” ব্যান্ডের ড্রামার, গুরু জেমসের দীর্ঘদিনের পুরোনো বন্ধু এহসান এলাহী ফান্টি ভাই, “নগরবাউল” ব্যান্ডের বিজনেস ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন ভাই, সাথে ছিলেন জিয়া ভাই ও, আর বরিশাল, সাভার, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ, জামালপুর, কেরানীগঞ্জ ইত্যাদি জেলা হতে ভালোবাসার টানে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে অনেকেই ছুঁটে এসেছেন, তাদেরকে মনের গহীন থেকে ভালোবাসা, আর যারা ইচ্ছা থাকা সত্বেও অথবা দূরে থাকার কারণে আসতে পারেন নাই, তাদের সাথে আগামীবার দেখা হবে এই আশা করছি।
আমাদের গ্রুপের পক্ষ থেকে গতবারের ৮ জেলার মতো এইবার ঢাকার বাইরে ১২টি জেলায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জামা বিতরণ করার চেষ্টা করছি, সেই সূত্রে আজ ৫ টি জেলার এতিম বাচ্চাদের জন্য ১০০ সেট কাপড় বিশেষ অতিথিদের হাতের ছোঁয়া নিয়ে সেই সকল জেলার প্রতিনিধি দুষ্টুদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে, আমরা এইবার ইন-শা-আল্লাহ ৩০০ এর মতো ফুলসেট কাপড় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করবো গ্রুপের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়।
আজকে “নগরবাউল” ব্যান্ডের বিজনেস ম্যানেজার রুবাইয়াৎ ঠাকুর রবিন ভাই বলেছেন বিভিন্ন গ্রুপ বাদ দিয়ে একটি গ্রুপ করতে, যেটা আমাদের সবার মনের কথা। আমরা তো ২০১০ সাল থেকেই এক পথে আছি, মাঝখানে যারা আমাদের গ্রুপের সাথে থেকেও বিপথগামী হয়ে গিয়েছেন, বিভিন্ন গ্রুপ পরিচালিত করছেন, আমরা আবারো সবাইকে রবিন ভাইয়ের কথা মতো অনুরোধ করছি আপনারা আমাদের মাঝে আবার ফিরে আসুন, আমরা একই পথে থাকি আগের মতো যেভাবে ছিলাম। এইটাই আমাদের সবার চাওয়া।

অনেক কথা বলেছি, আরও অনেক কিছুই বলার ছিল, শেষে শুধু বলতে চাই এই গ্রুপের প্রতিটি দুষ্টুর শারীরিক/মানসিক/আর্থিক/আত্মিক প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে এই আয়োজন, আজ আর কারো নাম উল্লেখ করলাম না, কারণ সবার নাম উল্লেখ করতে গেলে পোষ্ট বিশাল হয়ে যাবে, শুধুই ভালোবাসা আর দোয়া রইলো সবার প্রতি যাদের কারণে আজকের এই অনুষ্ঠান প্রতিবারের মতো সফল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

13592376_1124118854321790_6763425898469236207_n

ঈদ বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০১৮

* সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের সাথে ঈদের খুশি প্রতি বৎসরের ন্যায় এবছরেও ভাগাভাগি করার জন্য দেশে ও বিদেশে অবস্থানকৃত দুষ্টুদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আরও কিছু কাপড় কেনা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ২০১০ সাল হতে আপনাদের সবার ভালোবাসায় পরিচালিত এই প্রিয় গ্রুপের এই মহৎ কার্যে যারা ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও শরিক হতে পারেন নি অথবা পারছেন না, আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা সামান্য হলেও প্রতি বছরের মতো গরিব-মিসকিনদের মুখে হাসি ফুটাতে পারে। আর এই সব কিছুই সম্ভব হচ্ছে আপনার/আমাদের সবার একতার জন্য। ২০ রমজানের পর সবার সুবিধা মতো সময় নির্ধারণ করেই বিতরণ করা হবে যেভাবে গতবার ২০১৭ ইং সালে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মোট ৮ টি জেলায় ১ম ধাপে গাইবান্ধা, ২য় ধাপে লক্ষ্মীপুর, ৩য় ধাপে রংপুর জেলা, ৪র্থ ধাপে যশোর জেলা, ৫ম ধাপে সিলেট জেলা, ৬ষ্ঠ ধাপে ভোলা জেলা, ৭ম ধাপে সাতক্ষীরা এবং ৮ম ধাপে ঢাকা জেলার মিরপুর বস্তি এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার পথশিশুদের মাঝে মোট ২৬০ টি ঈদের নতুন জামা বিতরণ করে তাদের সাথে ঈদের আনন্দ কিছুটা হলেও ভাগাভাগি করার চেষ্টা করেছিলাম, এইবার ও বিতরণের সময় বাচ্চাদের মুখের হাসি সামনা-সামনি দেখার বিশেষ অনুরোধ রইলো সবাইকে, যেটা দেখে আপনার চোখে অশ্রু ধরে রাখতে পারবেন না। আল্লাহ ভরসা। সবাইকেই এইভাবেই সর্বদা পাশে চাই। ধন্যবাদ।

ছবিঃ ঈদ বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি ২০১৬

Special salute – Stobdho Jhorna

33160525_1833564996710502_5779247305609707520_n

ইফতার ও দোয়া মাহফিল ২০১৮

ইনশাআল্লাহ আগামী ৮ই রমজান শুক্রবার, (২৫শে মে, ২০১৮) **গুরু জেমসের ”দুষ্টু ছেলের দল”** এর ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সাথে থাকবেন প্রাণের ব্যান্ড নগর বাউলের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ।
ইনশা আল্লাহ দেখা হবে পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী #নিরব_হোটেলে।

asdsa

গুরুর বাংলাদেশ গানটাতে যাদের নাম এসেছিল, তাদের নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনী

গুরুর বাংলাদেশ গানটাতে যাদের নাম এসেছিল, তাদের নাম ও সংক্ষিপ্ত জীবনী ।
—–
১) সোহরাওয়ার্দী
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
জন্ম ৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯২, মৃত্যু ৫ ডিসেম্বর ১৯৬৩।
বাংলার প্রধানমন্ত্রী (৩ জুলাই ১৯৪৬ – ১৪ আগস্ট ১৯৪৭)

২) শের এ বাংলা
আবুল কাশেম ফজলুল হক
শের এ বাংলা (বাংলার বাঘ)
জম্ম ২৬ অক্টোবর ১৮৭৩, মৃত্যু ২৭ এপ্রিল ১৯৬২।

৩) ভাষানী
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
জন্ম ১২ ডিসেম্বর ১৮৮০, মৃত্যু ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬।
মজলুম জননেতা।

৪)বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
জন্ম ১৭ মার্চ ১৯২০, মৃত্যু ১৫ আগস্ট ১৯৭৫
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক রক্তে আগুন জ্বলা জ্বালাময় সেই ভাষণ দেন।

৫) শহীদ জিয়া
শহীদ জিয়াউর রহমান
জন্ম ১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬, মৃত্যু ৩০ মে ১৯৮১
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতারর ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

৬) জাহানারা ইমাম
জাহানার ইমাম, শহীদ জননী।
জন্ম ৩ মে ১৯২৯, মৃত্যু ২৬ জুন ১৯৯৪।
তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ একাত্তরের দিনগুলি। একাত্তরে তার ছেলে রুমি পাকিস্তানিদের হাতে গ্রেফতার হন এবং নির্মমভাবে শহীদ হন।

৭) জসীম উদ্দিন
মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন মোল্লা (পল্লী কবি জসীম উদ্দিন)
জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯০৩, মৃত্যু ১৩ মার্চ ১৯৭৬।
জসীম উদ্দিনের নকশী কাঁথার মাঠ ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বাংলা সাহিত্যের একটি অনবদ্য আখ্যানকাব্য।

৮) কবি নজরুল
বাংলাদেশের জাতীয় কবি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
জন্ম ২৪ মে ১৮৯৯, মৃত্যু ২৯ আগস্ট ১৯৭৬।
বিদ্রোহী __
বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী’ আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!

৯) আব্বাস
আব্বাস উদ্দিন আহমদ।
জন্ম ২৭ শে অক্টোবর ১৯০১, মৃত্যু ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫৯।
আব্বাস উদ্দিন ছিলেন প্রথম মুসলমান গায়ক যিনি আসল নাম ব্যবহার করে এইচ এম ভি থেকে গানের রেকর্ড বের করতেন।

১০) আব্দুল আলীম
জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৩১, মৃত্যু ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪।
সর্বনাশা পদ্মা নদী তোর কাছে শুধাই
বল আমারে তোর কি রে আর
কুল কিনারা নাই।

১১) সুফিয়া কামাল
বেগম সুফিয়া কামাল
জন্ম ২০ জুন ১৯১১, মৃত্যু ২০ নভেম্বর ১৯৯৯।
স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন।

১২) জয়নুল আবেদিন
জয়নুল আবেদিন।
জন্ম ২৯ ডিসেম্বর ১৯১৪, মৃত্যু ২৮ মে১৯৭৬।
জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষ চিত্রমালার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন।

১৩) এস এম সুলতান
শেখ মোহাম্মদ সুলতান।
একজন প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী।
জন্ম ১০ আগস্ট ১৯২৩, মৃত্যু ১০ অক্টোবর ১৯৯৪।

১৪) শহীদুল্লাহ কায়সার
শহীদুল্লাহ কায়সার।
জন্ম ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭, মৃত্যু ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর নিখোঁজ হন আর ফিরেন নাই।
তিনি সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী লেখক ছিলেন।

১৫) মুনীর চৌধুরী
আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী
জন্ম ২৭ নভেম্বর ১৯২৫, মৃত্যু ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার বাহিনী তাকে অপহরণ করে।
তিনি বুদ্ধিজীবী লেখক ছিলেন। কবর, রক্তাক্ত প্রান্তর জনপ্রিয় নাটক দুইটি তিনিই লেখেন।

★এই ছাড়া,,
ত্রিশ কিংবা তার অধিক লাখো শহীদের প্রাণের কথা স্মরণ করেছেন।
এবং
রক্তের কালিতে লেখা নাম, সাত শ্রেষ্ঠ বীরের কথাও স্মরণ করা হয়েছে।।।★

#আমার #সোনার #বাংলা
#আমি #তোমায় #ভালোবাসি।।।

আর এই চমৎকার গানটি লিখে, সুর করে, আমাদের জন্য উপহার হিসেবে গুরুর মাধ্যমে পাঠিয়েছেন, আমাদের প্রিয় #প্রিন্স_মাহমুদ ভাই।

————————————————–জয় গুরু